অর্থনীতি বিশেষ করে মুদ্রাবাজারের অভিভাবক হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের নিম্নলিখিত সম্পর্ক বিদ্যমান:
১) বিধিবদ্ধ রিজার্ভ : বাণিজ্যিক ব্যাংক তার আমানতের একটি নির্দিষ্ট অংশ বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জমা রাখতে হয়। যা উভয়কে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আবদ্ধ করেছে।
২) নিকাশ ঘর : নিকাশ ঘরের (Clearing House) দায়িত্ব পালন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।
৩) কার্যবিবরণী : বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে সপ্তাহে এবং মাসে তাদের কার্যের বিবরণী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট পাঠাতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় উভয়ের মধ্যে গভীর সেতুবন্ধ গড়ে উঠে।
৪) তথ্য সরবরাহকারী : কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশ-বিদেশের অর্থবাজার, অর্থনীতি ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করে থাকে। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক-কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
৫) তারল্য : বাণিজ্যিক ব্যাংকের তারল্য (Liquidity) রক্ষা ব্যবস্থার কারণে উভয়ের মধ্যে আদেষ্টা-আদিষ্টের সম্পর্কের সৃষ্টি হয়।
৬) অভিভাবক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অভিভাবক (Guardian) হিসেবে কাজ করে।
৭) শেষ আশ্রয়স্থল : ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল (Lender of the last Resort) হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের নিকট সবচেয়ে আপনজন হিসেবে পরিচিত।
৮) সদস্যভুক্তির মাধ্যমে সুযোগ গ্রহণ : বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তার সদস্য হয়ে থাকে।
৯) ব্যাংকার-মক্কেল সম্পর্ক : প্রয়োজনের সময় বাণিজ্যিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট হতে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। তাই এদের মধ্যকার সম্পর্ককে ব্যাংকার মক্কেল সম্পর্ক বলে চিহ্নিত করা যায়।
১০) সহযোগী : কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার নীতি ও পরিকল্পনা বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বাস্তবায়নের করে, আবার বাণিজ্যিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট হতে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে থাকে। এভাবে একে অপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।
১১) সব ব্যাংকের ব্যাংকার : সব ব্যাংকের ব্যাংকার (Banker of all Banks) হিসেবে কাজ করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ।